নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলে কমিটি ভাগিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামী ঘরোয়ানা মশিউর রহমান রনি ও খাইরুল ইসলাম সজিব। আর তাদের দুই জনকে সার্বিক সহযোগীতায় করছে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র আর্ন্তজাতিক বিষয় সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ শাহ আলম ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড.তৈমূর আলম খন্দকার, আজহারুল ইসলাম মান্নান বলে অভিযোগ উঠে আসছে জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে। শুধু তাই নয় অযোগ্য এই সুবিধাবাদীদের হাতে জেলা ছাত্র দলের কমিটির দায়িত্ব অর্পিত হলে সংঘর্ষের আতংককে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা।
তারা আরও দাবী করে বলেন, রনি বতর্মান ফতুল্লা বৃহত্তর মাসদাইর আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিউর রহমান প্রধানের ভাগিনা এবং নব-গঠিত জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রাফেল ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ এর মামাত ও ফুফাত ভাই। সেই সাথে নিহত সৈনিকলীগের সভাপতি মোকলেছ তার বোন জামাতা। যার ফলশ্রুতিতে একাধিক মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করার পরও নেতাকর্মীদের কাছে আত্মগোপনের অভিনয় করে আসা, এই নেতা নারায়ণগঞ্জ জেলায় দিব্বি আরামে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কিন্ত অদৃশ্য ক্ষমতার বলে গ্রেফতার হচ্ছে না আওয়ামী ও বিএনপি দু’কুলের বাসিন্দা মশিউর রহমান রনি। শুধু তাই নয় তার বাবা মোস্তাফ কক্ট্রাকটার বতর্মান সরকারের আমলেও কাজের স্রোতে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছে পরিনত হয়েছে। অথচ রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় জেলা ছাত্র দলের নেতারা মামলা হামলার শিকার হয়ে কারাগারে বসতি করতে বাধ্য হচ্ছে। তারা আরও দাবী করে বলেন, মশিউর রহমান রনি তার এলাকা ফতুল্লা
থানায় গুটি কয়েক জন ছাত্রদের নিয়ে ফটোসেশনের কর্মসূচী পালন করে আসলেও, সাংগঠনিক যোগ্যতা নেই জেলার রাজনীতিতে দক্ষতা দেখানোর। এবার এই অযোগ্য নেতাকে দিয়ে জেলা ছাত্র দলের কমিটি ভাগিয়ে আনতে অর্থ ও লবিং এ সহযোগীতা করে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র আইন বিষয় সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ব্যবসায়ী রাজনীতি বিদ শাহ আলম।
অপরদিকে, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী সদস্য, নব-গঠিত জেলার সহ-সভাপতি, সোনারগাঁ থানার সাধারণ সম্পাদক, সোনারগাঁ ৩ আসনের এবারের সাংসদ প্রার্থী ও সোনারগাঁ উপজেলার চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান এর ছেলে খাইরুল ইসলাম সজিব বাবার নাম ডাক, জোড় ও অর্থের বিনিময় অযোগ্য হয়েও কমিটিতে স্থান পাওয়ার জন্য লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন জোরে সোরে। আর তাকে সহযোগীতা করছেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি এড. তৈমূর আলম খন্দকার। সাথে রয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্র দলের দায়িত্বে থাকা কয়েক জন নেতা। অথচ এই ছেলের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহের কমতি নেই রাজনৈতিক অঙ্গনের। এছাড়াও বিগত দিনে সরকার পতন আন্দোলন সংগ্রামে তার ছিলো না তেমন কোন উল্লেখ্য যোগ্য কর্মকান্ড। আর সাংগঠনিক দক্ষতা নেই বলেই চলে কারন এর আগে কোন ওয়ার্ড পর্যায়ও সংগঠনের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি বাবার পথে হাটা এই এক সন্তানের জনককে।
এদিকে, দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র সহ-সভাপতি তারেক রহমানের নির্দেশ মোতাবেক প্রতিটি জেলা ও মহানগর সহযোগী সংগঠনের কমিটি দেয়ার কথা ছিলো সেই জেলায় এবং মহানগরের দায়িত্বরত বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে সমন্বয় করে। যার কোনটাই মানছেন না কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নীতি নিধারকরা বলে অভিযোগ ছাত্র দলের।
উল্লেখ্য, দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ মোতাবেক ২০০০ সালে এসএসসি পাশ হওয়া ছাত্রদের হাতেই দায়িত্ব অর্পিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। আর এই ঘোষনার পর থেকেই ছাত্র রাজনীতিতে রাজপথ কামানো অনেক নেতারই সাংগঠনিক যোগ্যতা থাকার পরও ছিটকে পরেছেন ছাত্র রাজনীতি থেকে। আর সেই সুযোগে বিএনপি’র ভ্যানগার্ড হিসেবে খ্যাত ছাত্র রাজনীতি চলে যাচ্ছে আধা শিক্ষিত ও সাংগঠনিক দক্ষতাহীন নেতাদের কাছে।
টাকা, বাবার ক্ষমতা বা নেতার পরিচয় দিয়ে কমিটি ভাগিয়ে আনার চেষ্টা করলেও তাদের থানা কমিটি পরিচালনার যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহের কোন কমতি নেই ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় তৃনমূলের। ইতিমধ্যে এই বিষয় গুলো নিয়ে স্থানীয় মিডিয়াতে আলোচনা সমালোচনা হলেও তাতে তেমন কোন কর্নপাত করছেন না সুবিধাবাদী সুযোগ সন্ধ্যানীরা।